আলো ফোটার আগেই প্রভাতফেরির ঢল নামে শহীদ মিনারে। টিএসসি, ঢাকা মেডিকেল, কলাভবন ও কার্জন হল এলাকা ঘিরে তা বাড়তে থাকে। সেখান থেকে জনস্রোত ধীরে ধীরে ঢুকে পড়ে অমর একুশে বইমেলায়। গতকাল তাই বইমেলা ছিল সবচেয়ে জমজমাট।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন কলেজ। মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করা ভাষাশহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মাইলস্টোন কলেজে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রভাতফেরি, কালো ব্যাজ ধারণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, শোকের প্রতীক কালো পতাকা উত্তোলন, শহীদ
বাংলাদেশ বিপ্লবের তিনটি পর্যায় হলো—ভাষা আন্দোলন, স্বায়ত্তশাসন তথা ছয় দফা ও এগারো দফার গণ-অভ্যুত্থান এবং মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ। এই বিপ্লবকে একটি জৈবিক সত্তার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। ভাষা আন্দোলন (১৯৪৮–১৯৫২) ছিল জৈবিক ভ্রূণের সঙ্গে তুলনীয় এক প্রাথমিক সত্তা অথবা অস্তিত্ব।
আজীমপুর কবরস্থানের দক্ষিণ দরজা দিয়ে ঢুকে সামান্য হাটতে হবে ৷ তারপর বামপাশে তাকালেই চোখে পড়বে সাদা-কালো মার্বেল পাথরে বাঁধাই করা পাশাপাশি তিনটি সমাধি ৷ মায়ের ভাষায় কথা বলতে আর স্বাধীন আশায় পথ চলার দৃপ্ত প্রত্যয় জারি রাখতে যারা
পাহাড়ি অঞ্চলের হাজং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে। এই ভাষা টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অন্তর হাজং। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নিজের গোত্রের বিভিন্ন বয়সীদের হাজং ভাষা শেখাচ্ছেন তিনি।
উচ্চশিক্ষায় মাতৃভাষা বাংলার ব্যবহার এখনো উপেক্ষিত। চিকিৎসা, প্রকৌশল, বিজ্ঞান, ব্যবসায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা এখনো ইংরেজি ভাষায় রচিত বইয়ের ওপর নির্ভরশীল। অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানও হচ্ছে ইংরেজি ভাষায়। ফলে দীর্ঘদিন ধরে উচ্চশিক্ষায় বাংলা ব্যবহার শুধু কথাতেই রয়ে গেছে।
ফেব্রুয়ারি এলেই বাংলা ভাষা নিয়ে হইচই আর সাদাকালো পোশাক নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়ে যায়। তারপর আবার পরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নীরবতা। মাঝখানে পয়লা বৈশাখে আবার বাঙালিত্ব জেগে ওঠে। লাল-সাদা পোশাক নিয়ে পান্তা-ইলিশ। এতে দোষের কিছু নেই; বরং সংস্কারমুক্ত দুটো বিষয় বাঙালিদের অল্প সময়ের জন্য হলেও এক ও ধর্মনিরপেক্ষ
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও সাম্যবাদী চিন্তক যতীন সরকার। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্যচর্চা, বাম রাজনীতি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দুই মেয়াদে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত অর্ধশতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘পাকিস্তানের জন্মম
আজ অমর একুশে। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে এই দিন রক্ত ঝরেছিল। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পঞ্চম বছরে এসেই সন্দেহ, অবিশ্বাস আর শোষণ-বঞ্চনার বিষয়গুলো স্পষ্ট হতে থাকে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে প
২১ ফেব্রুয়ারি সকালে আমতলার সভায় ছাত্রীরা নিজ দায়িত্বেই যোগ দিয়েছিলেন। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই তাঁরা ভেঙেছিলেন ১৪৪ ধারা। আমতলার সভায় ১৪৪ ধারা ভাঙা হবে কি না, তা নিয়ে অল্প কিছু সময় ধরে বিতর্ক চলে। ছাত্রীরা ছিলেন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার পক্ষে।
২০০২ সালের পর থেকে ফেব্রুয়ারি এলেই গণমাধ্যমে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়ে, তা হলো- সিয়েরা লিওনের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা বা অন্যতম রাষ্ট্রীয় ভাষা বা দাপ্তরিক ভাষা বাংলা। আসলেই কি বাংলা দেশটির দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ভাষা আন্দোলনের ৭৫ বছর পেরিয়ে কতগুলো প্রশ্ন আমাদের সামনে ঘুরেফিরেই আসছে। রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি বাদ দিলে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন ও অগ্রগতি কী? ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, নিশ্চয়ই এটা গৌরবের। কিন্তু বাংলাকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিতে আমাদ
ভাষাটির নাম পিরাহা। ব্রাজিলের গভীর আমাজন বনের এক নদীর ধারে পিরাহা জনগোষ্ঠীর বাস। ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী, তাঁদের সদস্য সংখ্যা ৮০০। ভাষাবিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে তাঁরা পৃথিবীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এক নৃগোষ্ঠী।
ইংরেজির বাইরেও একাধিক ভাষা শেখা প্রয়োজন। কারণ, পৃথিবী এখন ‘গ্লোবাল ভিলেজে’ পরিণত হয়েছে। এখন ঘরে বসেই সারা পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। এ জন্য প্রয়োজন ভাষার দক্ষতা ও সেই জনগোষ্ঠীর ভাষা জানা। বিষয়টি উপলব্ধি করে এখন অনেকে মাতৃভাষার বাইরেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ভাষা শেখার চেষ্টা করেন। বিশেষজ্
পৃথিবী থেকে ভাষা বিলুপ্তি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও বহু ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। অনেক ভাষা হয়তো আমাদের জানার আগেই হারিয়ে গেছে। ভাষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীতে এখন অন্তত ১৫টি ভাষা সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এগুলো। এমন কয়েকটি ভাষা সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য জেনে নিই।
ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। প্রথমত, এটি অসাম্প্রদায়িক-ভাষা ধর্মীয় বিভাজন মানে না, সাম্প্রদায়িকতার অবরোধ ভেঙে ফেলে এগিয়ে যায়। ধর্মব্যবসায়ীরা বাংলা ভাষার ওপর নানাভাবে সাম্প্রদায়িক উৎপাত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু ভাষা সেসব তৎপরতাকে মোটেই গ্রাহ্য করেনি, সে এগিয়ে গেছে সামনের দিকে। ভাষা